নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ থেকে দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ-২০১৭। ‘টিকা শিশুর জীবন বাঁচায়’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ থেকে এ সচেতনতা সপ্তাহ শুরু হয়েছে যা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
২০১২ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের ৬৫তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে প্রতি বছরের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে এ কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে এবারই প্রথম এ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
জনগণের মাঝে টিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, টিকার চাহিদা সৃষ্টি এবং টিকাদানের কভারেজ বৃদ্ধির উদ্দেশে এ সপ্তাহ পালর করা হয়।
বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিএর) কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৫ সালের জরিপের ফলাফল অনুযায়ী ইপিআই-এর আওতায় ১ বছরের নিচের শিশুদের মাঝে প্রথম টিকা গ্রহণের হার ৯৯ ভাগ। ১৯৮৫ সালে এ হার ছিল মাত্র ২ ভাগ। ২০০৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে দেশকে পোলিওমুক্ত অবস্থা বজায় রেখে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে পোলিওমুক্ত সনদ অর্জন, ২০০৮ সালে মা ও নবজাতকের ধনুষ্টঙ্কার দূরীকরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ইপিআই কর্মসূচিতে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় নতুন টিকা সংযোজন।
১৯৭৯ সালে ৬টি টিকা দিয়ে বাংলাদেশে শুরু হওয়া ইপিআই কার্যক্রমে বিভিন্ন সময়ে নতুন টিকা সংযোজন করা হয়েছে। ২০১৫ সালে টিকার সংখ্যা ১১-এ উন্নীত হয়- যা ২০১৮ সালে ১৩-তে উন্নীত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ইপিআই’র লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, ইপিআাই অ্যান্ড সার্ভিল্যান্সের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শামসুজ্জামান প্রমুখ। সপ্তাহ পালন উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই